নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আরও তিন থেকে চার দিন থাকতে পারে এমন অবস্থা। এছাড়া জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে এ তথ্য বলা হয়।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সন্ধ্যায় জানান, এ মাসে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হতে পারে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা কম। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় শীত কম অনুভূত হলেও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে।’
মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলসহ খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে এখন শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের। এছাড়া দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও কনকনে ঠাণ্ডায় ঠিকই জবুথবু অবস্থা সবার।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দেশের অনেক অঞ্চলে সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ স্বল্প আয়ের মানুষরা সন্ধ্যার দিকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।
জানুয়ারির শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও খানিকটা নেমে যাবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়। এ সপ্তাহেই সারাদেশের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
সাধারণত শৈত্যপ্রবাহ তিন ধরনের হয়ে থাকে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি মাঝারি ও ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এবার সব মিলিয়ে ৪ থেকে ৫টি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় সন্ধ্যায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩, ময়মনসিংহে ১২, চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৪, সিলেটে ১৫ দশমিক ১, রংপুরে ১০, খুলনায় ৯ দশমিক ৮ ও বরিশালে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। লঘুচাপের প্রভাবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
